×

সমবায় বলতে সাধারণ ভাষায় যা বোঝায় তা হলো  কিছু লোক একটি লক্ষ্য অর্জনের  জন্যে কাজ করা । সমবায় সমিতি আইন, ২০০১ ( সংশোধিত ২০০২ ও ২০১৩ ) এর ধারা ৮(১) (ক) অনুযায়ী

নূন্যতম ২০ জন  একক ব্যক্তি বৈধ উপায়ে সমিতির সদস্যদের আর্ধ সামাজিক উন্নয়নে একসাথে কাজ করে সমবায় সমিতি গঠন করে। সমবায় সমিতিতে নূন্যতম ২০ হাজার পরিশধিত মূলধন দিতে হবে। সমবায় সমিতিতে বছর শেষে প্রজেক্ট হ্যান্ডওভারের পরে  ট্যাক্স দিতে হবে মাত্র ১৫%। যেখানে অন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানা বা ব্যাক্তি মালিকানা বছর শেষে ৩৫%-৪০% ট্যাক্স দিতে হয়। সমবায় সমিতি গঠনে ৩% ট্যাক্স দিয়ে কারণ তাদের ট্রানিং, শিখানো, সেমিনার ইত্যাদির জন্য। তাহলে বছর শেষে শুধু ১৮% ট্যাক্স দিতে হচ্ছে। সমবায় এর মাধ্যমে প্রোফিট অনেক বেশি থাকে। কারণ লোক সংখ্যা অনুযায়ী তাদের টাকার  বা প্রোফিট নির্ধারিত থাকে। সমবায় সমিতি ২৯ ধরনের রেজিষ্ট্রেশন করে থাকে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় সমিতির দ্বারায় বিশেষ কিছু করে। 


কার্যকরি মূলধন :


সমিতির গঠনের সময় ২০ হাজার টাকা। ৪ হাজার টাকা সেভিং এবং ডিপোজিট সহই হচ্ছে কার্যকরী মূলধন । আর মূলধন দিয়ে পুরো প্রজেক্টটা প্ল্যান করা হবে। এখানে সমবায় সমিতিতে একটা ম্যানেজমেন্ট বোর্ড গঠন করতে পারে। যেখানে সদস্য সংখ্যা ৬, ৯ বা ১২ জন হতে পারে। এবং এদের নিবন্ধনের পর প্রথম ২ বছর তারা বোর্ডে থাকবে। তারপর যারা বোর্ডে আসবেন তারা ৩ বার বোর্ডে থাকতে পারে। এবং প্রতিবার একজন নতুন যুক্ত হতে পারবে অন্যজনের বদলে। 


সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রক্রিয়া:


প্রথমত  একটা সমস্যা নির্বাচন করে নূন্যতম ২০ জন মিলে একটা কমিটি গঠন করে। একটা মিটিং এ সেটার নাম ঠিক করতে হবে। এরপর সেই ২০ জনের  মধ্যে কাউকে প্রতিনিধি করতে পারে  এবং একটা আইন তৈরি করতে হবে। যেটাকে বলে উপ আইন। তারা মিটিং এর মাধ্যমে উপ আইন তৈরি করবে।  একটা কমিটি গঠন করে, এলাকা নির্বাচন করে, কি পরিমাণ শেয়ার, সঞ্চয়, পরিশধিত মূলধন কত হবে, কার্যকরী মূলধন কত হবে এসব নিয়ে একটি খাতাপত্র তৈরি করে একটি নিবন্ধন পত্র পূরণ করতে  হবে। এই নিবন্ধন জেলা পর্যায়ে সমবায় সমিতিতে করা হবে। বাংলাদেশে প্রতিটি জেলায় সমবায় অফিস থাকে। উপজেলা সমিতির মাধ্যমে জেলা পর্যায়ে আবেদন করতে হবে। 


আবেদন পত্রে ২০ জনের পিতা-মাতার নাম, বয়স, পেশা, একটা এলাকা নির্বাচন, উপ আইন যাটা কিনা নির্ধারিত করবে কিভাবে এই সমিতি পরিচালিত হবে, এছাড়া আগামী ২বছর কিভাবে কত টাকা খরচ হবে তার একটি পরিকল্পনা পত্র দিতে হবে এবং ২০ জনের ভোটার আইডিকার্ড আর ছবি দিতে হবে এবং সবাই আইন মেনে চলবে এটা নিয়ে একটি অংগীকার নামা সহ উপজেলা সমবায় সমিতির বরাবর আবেদন করতে হবে। আবেদন করতে ৩০০ টাকা এবং ১৫%ভ্যাট দিয়ে ৩৪৫ টাকা দিয়ে ৩ প্রস্থ আবেদন উপজেলা সমবায় করতে পারেন। যখন জেলা অফিসে যাবে। তখন জেলা অফিসাররা সব কিছু ঠিক আছে কিনা এসব যাচাই-বাছাই করে, ভেরিফাই করে ৬০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে বাধ্য থাকিবে। কিন্তু যদি ভুল থাকে তাহলে ৬০ দিনের মধ্যে আবেদনকারীকে জানানো হবে। আবেদনকারী যদি ৬০ এর মধ্যে না জানতে পারে। তাহলে সে সমবায়ে বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে ৩ দিন পর আবেদন করবে যে তার নিবন্ধন হয় নি। যদি সে জানতে না পারে তাহলে বিভাগীয় কর্মকর্তা কাছে লিখিত ভাবে জানাবে যে সে দুদিন আগে  নিবন্ধন করেছিলো। এবং বিভাগীয় কর্মকর্তা জেলা সমবায়ে জানাবে এটা।এছাড়া নিবন্ধনের পর একটা সার্টিফিকেট দেওয়া হবে যারা বিভিন্ন বিজনেস করতে চায় বা কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করবে তা কাজে দিবে।